পাটনাঃ- সচেতনতা প্রসারে ক্যাম্পেন, কড়া আইন করেও নির্মূল করা যায়নি পণ প্রথা ৷ টাকার বিনিময়ে বিয়ের প্রবণতা বন্ধ করতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ৷
বাল্য
বিবাহ ও পণ নেওয়ার মতো ঘৃণ্য প্রথা বন্ধ করতে সচেষ্ট উদ্যোগী সরকার ৷
রাজ্য থেকে এই দুই জঘন্য প্রথাকে শিকড় থেকে শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ
কুমার জানিয়েছেন, কেউ বিয়ের সময় পণ দাবী করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি
ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
এছাড়া
বিহারের কোনও রাজ্য সরকারি কর্মী বিয়ের জন্য পণ দাবী করেন তাহলে তাঁকে
চাকরি থেকে বহিষ্কার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নীতিশ কুমার ৷
উল্লেখ্য,
চাকরিতে যোগদানের সময় বিহারের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি শপথ বাক্য
পাঠ করতে হয় ৷ যাতে বলা থাকে পণ প্রথা বা বাল্য বিবাহের মতো কোনও কাজকে
সমর্থন করবে না ৷ নিজের বা নিজেদের ছেলে মেয়ের বিয়েতে কোনওভাবেই একজন
রাজ্য সরকারি কর্মচারী পণ চাইবেন না এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই ছেলে
মেয়ের বিয়ে দেবেন না ৷ এর অন্যথা হলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবে সরকার ৷
তবে
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাস্তবে এই শপথের প্রভাব পড়ছে না বললেই চলে ৷
বিয়ের সময়ে গোপনেই চলছে পণের আদানপ্রদান ৷ অন্যদিকে, বাল্যবিবাহের হারও
কমেনি ৷ তাই আরও কড়া ব্যবস্থা নিতেই চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ৷
পণপ্রথা
ছাড়াও রাজ্য বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্যেও সচেষ্ট সরকার ৷ বিহারের
উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি বলেন, বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য ‘বন্ধন তোড়’ বলে
একটি অ্যাপও লঞ্চ করেছে সরকার ৷ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই জোর করে কারোর
বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে নাবালিকা বা তাঁর পরিচিত কেউ এই অ্যাপের SOS
ফিচারের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে পারেন ৷ প্রশাসন তৎক্ষণাৎ তার সাহায্যে সঠিক
জায়গায় পৌঁছে যাবে ৷
সূত্র- Click here

No comments:
Post a Comment